টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে ৫শতাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
মেরুং-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়নের ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সঙ্গে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন এ ৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ২৭০ পরিবার, মেরুং ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ পরিবার ও বোয়ালখালী ইউনিয়ন ২টি আশ্রয়কেন্দ্র ১১৫ পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিতসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জনদুর্ভোগও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়াসহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্র চলে আসছে।
কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন, কবাখালী ইউনিয়নে ৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ২৭০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে।
ইউএনও মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিএইচ